ভারতে ঋণের বোঝা সইতে না পেরে পুরো পরিবারের আত্মহত্যা

দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের ১১ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার কূলকিনারা হওয়ার আগেই প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে একই পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ। খবর দ্য ওয়ালের।

খবরে বলা হয়, গত ১ জুলাই বুরারির একটি বাড়ি থেকে এক পরিবারের ১১ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের হত্যা করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে শনিবার নতুন করে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে একই পরিবারের ছয় সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে দু’জন নারী ও দুই শিশু রয়েছে। ছয় জনের মধ্যে দু’জনকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে আরও দু’জনকে। এক শিশুকে সম্ভবত বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অপর এক শিশুকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে তিনটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছে। যার একটি অনুসারে, পরিবারটি ৫০ লাখ রুপি ঋণের বোঝায় জর্জরিত ছিল। ওই ঋণ তাদের পক্ষে শোধ করা সম্ভব ছিল না। এছাড়া অপর একটি ‘সুইসাইড নোটে’ লেখা হয়েছে, ছেলে গলায় ফাঁস নিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছাদে নিয়ে নিচে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

নিহত পরিবারটির কর্তার নাম নরেশ মহেশ্বর। বাকিরা তার স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবা-মা বলে জানায় পুলিশ। পুলিশ জানায়, তারা হত্যা ও আত্মহত্যা উভয় দিক থেকেই এই ঘটনার তদন্ত করছেন।